Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

মানুষ কেন এখনও ১৩কে অপয়া ভাবে

যুক্তরাজ্যের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফের সেন্ট্রাল কোয়েতে নির্মাণাধীন একটি নতুন ভবনের ফ্লোর নম্বর দেওয়ার সময় ১৩ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফের সেন্ট্রাল কোয়েতে নির্মাণাধীন একটি নতুন ভবনের ফ্লোর নম্বর দেওয়ার সময় ১৩ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

১৩ সংখ্যাটিকে অশুভ এবং অমঙ্গলজনক মনে করাটা একটি কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই না। তবুও এই বিশ্বাস অনেকের মনেই এতটাই শেকড় গেঁড়ে বসে আছে যে ভবন নির্মাণের মতো বড় বিষয়ও এতে প্রভাবিত হয়।

জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতি হিসেবে স্বীকৃত ব্রিটিশদের সংস্কৃতিতেও এই কুসংস্কার এখনও রয়ে গেছে প্রবলভাবে। দেশটির অনেক আবাসিক ভবন বা হোটেলে ১৩ নম্বরটি এড়িয়ে যাওয়া হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের সেন্ট্রাল কোয়েতে নির্মাণাধীন একটি নতুন ভবনের ফ্লোর নম্বর দেওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ১৩ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়া হয়। কার্ডিফে ট্রেন থেকে নামার পরপরই ভবনটি যে কারও চোখে পড়বে।

ভাবতে পারেন যে এটি একটি বিরল ঘটনা। কিন্তু না, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। যুক্তরাজ্যজুড়ে বহু আবাসিক ভবন কিংবা হোটেলে সচেতনভাবেই ১৩ সংখ্যাটিকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কেউ ভবনের ১৩ নম্বর ফ্লোরটির নাম দেন ১২এ, অথবা সেটিকে বাসা ও অফিস হিসেবে ব্যবহার না করে খালি ফেলে রাখেন বা অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করেন।

কেউ আবার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে ১২ থেকে লাফ দিয়ে ১৪ তে চলে যান, যেমনটা দেখা যায় কার্ডিফের একটি বহুতল হোটেলে। হোটেলটিতে ১২ নম্বর ফ্লোরের পরে ১৩ নম্বর ফ্লোরের অস্তিত্বই নেই। সরাসরি ১৪ নম্বর ফ্লোর হিসেবে সেটিকে চিহ্নিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এমনকি যেসব বাড়ির নম্বর ১৩, সেসব বাড়ির দামও তুলনামূলক সস্তা। এর জন্য অতীতে কিছু স্থানীয় কাউন্সিল থেকে ১৩ নম্বর ব্যবহার করে বাড়ি নির্মাণ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ অনেকেই ১৩ নম্বর বাড়িতে থাকতে চায় না।

ব্রিটেনে একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৪ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে ১৩ সংখ্যাটি সহজাতভাবেই অমঙ্গলজনক। আর ৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত না।

যাইহোক, সেন্ট্রাল কোয়েতে নির্মাণাধীন ভবনটি কার্ডিফ শহরের কমিউটার ট্রেন স্টেশনের পাশেই অবস্থিত। ফলে যারা প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন তাদের অনেকেই ভবনটি দেখতে পান। ভবনটিতে যে, ১৩ সংখ্যাটি বাদ দেওয়া হয়েছে সেটিও তাদের চোখ এড়ায় না।

তাদেরই একজন কার্ডিফের গ্রাঞ্জটাউনের সারাহ টমাস। তিনি যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মালিক এবং অবকাঠামো ব্যবস্থাপক কোম্পানি নেটওয়ার্ক রেল লিমিটেডে কাজ করেন। শহরের কমিউটার ট্রেন স্টেশনটির পাশেই তার অফিস। একদিন অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ব্রেইনস সাইটে তিনি ভবনটি দেখতে পান।

তিনি বলেন, “ভবনটিতে ১৩ নম্বর তলায় কোনও নম্বর দেওয়া নেই দেখে আমার কৌতূহল জাগে।”

সারাহ বলেন, “এটিকে আমি একটি ছোট কুসংস্কার হিসেবেই গণ্য করি। কিন্তু বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি গুগল করি। আর তখনই আমি জানতে পারি, বিষয়টি যুক্তরাজ্যে কত ব্যাপকভাবে চর্চিত হয়। আমার অনেক বন্ধুও বলেছে, তারা এমন অনেক ভবন এবং লিফট দেখেছে যেখানে ১৩ নম্বরটি নেই। ”

সারাহ নিজেকে কুসংস্কারমুক্ত মানুষ বলে দাবি করেন। তবুও কিছু অভ্যাস সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান থেকে উদ্ভূত হয় বলেই মনে করেন। যেমন তিনি বলেন, “আঘাতের ঝুঁকি এড়াতে আমি সম্ভব হলে সিঁড়ির নিচ দিয়ে হাঁটতে চাই না।”

সারাহ বলেন, “আমি কুসংস্কারের পেছনের ইতিহাসকে আকর্ষণীয় মনে করি। কারণ এসব থেকে লোকে কীভাবে বিশেষ কোনও ঘটনাকে তাদের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে দেখে সে ব্যাপারে অন্তর্দৃষ্টি মেলে।”

যুক্তরাজ্যের কিছু বিখ্যাত ভবনেও এই কুসংস্কারের দেখা মেলে। লন্ডনের ক্যানারি হোয়ার্ফে অবস্থিত ওয়ান কানাডা স্কয়ার টাওয়ারটিও তেমনই একটি ভবন। ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। সেই সময়ে এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উঁচু ভবন ছিল। এই ভবনটিতেও কোনও ১৩ নম্বর তলা নেই। আজও ভবনটি একই রকম রয়ে গেছে।

ক্যানারি হোয়ার্ফের ওয়ান কানাডা স্কয়ার ভবনে (বামের ছবিতে মাঝখানে) এবং লন্ডন আইয়ে ১৩ নম্বরটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

লন্ডনের টেমস নদীর পাশে অবস্থিত দ্য লন্ডন আই অথবা মিলেনিয়াম হুইল নামের নাগরদোলাটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম নাগরদোলা। এতে চড়ে বসলে প্রায় গোটা লন্ডন এক ঝলক দেখে নেওয়া যায়। এতে মোট ৩২টি পড আছে। কিন্তু ১৩ নম্বর কোনও পড নেই, সেটিকে বরং ৩৩ নম্বর পড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

‘অপয়া’ ১৩ এর ঐতিহাসিক পটভুমি

১৩ সংখ্যাটিকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করার ধারণাটির বেশ কয়েকটি উৎস রয়েছে।

এসবের একটি খ্রিস্টধর্মের সঙ্গে যুক্ত। যিশু খ্রিস্টের শেষ নৈশভোজে আসা ১৩তম অতিথি জুডাস তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। এরপরই যিশুকে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। জুডাস নাকি স্বেচ্ছায় ১৩তম আসনে বসেছিলেন।

একইভাবে নর্স পৌরাণিক কাহিনীতেও, অপকর্ম এবং প্রতারণার দেবতা লোকি দেবতাদের একটি নৈশভোজে ১৩তম অতিথি ছিলেন; যদিও তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু লোকি সেখানে উপস্থিত হয়ে দেবতা ওডিনের এক ছেলেকে দিয়ে আরেক ছেলেকে হত্যা করান। ফলে লোকির প্ররোচনায় শীত ও অন্ধকারের দৃষ্টিহীন দেবতা হোড ভালো কাজের দেবতা ব্লাডারকে হত্যা করেন।

ইংরেজিতে ১৩ সংখ্যাটি নিয়ে এই ভীতির নাম ‘ট্রিসকাইডেকাফোবিয়া’বা ‘থার্টিন ডিজিট ফোবিয়া’ । ১৩ সংখ্যাটি যদি কোনও শুক্রবারের সঙ্গে মিলে তাহলে এই ভীতি আরও গভীর হয়। কারণ যিশু খ্রিস্টের মৃত্যুও হয়েছিল ইহুদি ক্যালেন্ডারের নিসান মাসের ১৩ তারিখ এবং সেই দিনটিও ছিল শুক্রবার।

যিশু খ্রিস্টের শেষ নৈশভোজে তার ১৩ জন শিষ্য অংশ নিয়েছিল।

কিন্তু আধুনিক যুগের এবং আলোকিত সমাজের মানুষেরাও কেন এখনও এমন বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে রাখছে?

পুরাণ ও লোককাহিনীর বিশেষজ্ঞ কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির লেকচারার ড. জুলিয়েট উডের মতে, এর কারণ প্রকৃতপক্ষে এটি আসলে তুলনামূলকভাবে একটি সাম্প্রতিক ধারণা, যার সঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের কোনও সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, “এটি প্রাচীন কোনও লোককাহিনী নয়, এই অর্থে যে, এটি তেমন কোনও পুরনো ঐতিহ্য নয়। যিশুর শেষ নৈশভোজে ১৩ জন লোকের উপস্থিতির সঙ্গেও আসলে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”

জুলিয়েট উডের মতে, এটি মূলত মিডিয়ার সৃষ্টি, যা ২০ শতকের গোড়ার দিকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিনথ’ নামের সিনেমাসহ মিডিয়ায় প্রচারণার মাধ্যমে এটি এক ধরনের আধুনিক লোককাহিনীতে পরিণত হয় এবং মানুষের মনে শেকড় গেঁড়ে বসে।

বিশ শতকের আগে ১৩ সংখ্যাটিকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করার তেমন কোনও নজির নেই। তবে, লোকে এমন কুসংস্কার তৈরির জন্য পৌরাণিক কাহিনীগুলোর দিকে ফিরে তাকায় এবং সবচেয়ে বিখ্যাত কোনও একটি কাহিনীকে এর পেছনে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করে।

ড. উড ব্যাখ্যা করে বলেন, “যিশুর শেষ নৈশভোজের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ দেখানো সম্ভব হওয়ার কারণেই এই কুসংস্কারটি মানুষের মনে এতোটা শেকড় গেঁড়ে বসতে পেরেছে।”

ডক্টর জুলিয়েট উড

এই কুসংস্কারের উৎস হিসেবে লোকির ধারণাটিও আরও সাম্প্রতিক হতে পারে।

তিনি বলেন, “সংস্কৃতির কষ্টিপাথর হিসেবে নর্স পৌরাণিক কাহিনীর এই ধারণাটিও আসলে বেশ সাম্প্রতিক। এটি ১৯ শতকের ব্রিটেনে আমাদের জর্মন ঐতিহ্য খোঁজার আগ্রহের সঙ্গে যুক্ত। সেসময় বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ পণ্ডিত প্রথমবারের মতো নর্ডিক পুরাণগুলো অনুবাদ করেছিলেন। তার আগে আমরা লোকির গল্পটি জানতামও না।

“আর সম্প্রতি লোকিকে নিয়ে তৈরি মার্ভেল পিকচার্সের টিভি সিরিজের পর থেকে, লোকি একজন নায়ক। ফলে লোকে একটি নির্দিষ্ট চিত্রে ফোকাস করার প্রেক্ষাপট পায় এবং তার ওপর তাদের কুসংস্কারমূলক বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে।”

সিনেমায় লোকি চরিত্রে অভিনেতা টমাস উইলিয়াম হিডলস্টন।

প্রাচীন মিশরীয়রাও বিশ্বাস করতো, মানুষের জীবনে মোট ১৩টি ধাপের চক্র রয়েছে। আর ১৩তম ধাপটি জীবনের শেষ ধাপের একটি চক্র। তাদের বিশ্বাস-চক্রের ১২টি ধাপ জীবিত অবস্থায় সম্পন্ন হয়। সুতরাং ১৩ নম্বর ধাপ মৃত্যুকেই নির্দেশ করে। তাই ১৩ সংখ্যাটিকে তারা মৃত্যু ও ধ্বংসের প্রতীক মনে করত। এভাবে ইতিহাসে প্রথম মিশরেই ১৩ সংখ্যাটির সঙ্গে অশুভ বা অমঙ্গলের সম্পর্কের ধারণার গোড়াপত্তন হয়েছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও ১৩ সংখ্যাকে অশুভ বলে মনে করেন।

অন্যান্য দুর্ভাগ্যজনক দিন

দুর্ভাগ্যজনক দিনের ধারণাটি প্রকৃতপক্ষে অনেক পুরানো প্রথা। যেমন, রোমানরা মার্চের ১৫ তারিখকে অশুভ মনে করে। একই দিনে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে হত্যার পর তাদের এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। উইলিয়াম শেক্সপিয়র এই ঘটনা নিয়ে নাটক লেখার পর তা আরও জনপ্রিয় হয়।

ড. উড বলেন, “আমরা কুসংস্কার পছন্দ করি। আমরা এই অত্যন্ত যান্ত্রিক, অত্যন্ত অনিশ্চিত বিশ্বে ‘ওহ এটা আমাদের ঐতিহ্য’ বলতে সক্ষম হতে ভালোবাসি।

“আমরা নিজেদের বাইরের কিছুকে, দূষ্ট শক্তি নয় তবে অবশ্যই নিয়তিবাদী, দায়ী করতে সক্ষম হওয়ার মধ্য দিয়ে কোনও না কোনওভাবে আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং কম অনিরাপদ বোধ করি। যদিও তা একেবারেই অযৌক্তিক মনে হয়।”

এস্টেট এজেন্ট বডি প্রপার্টিমার্কের কেটি গ্রিফিন দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ডেভনে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, বাসা বা ভবনে এখনও ইচ্ছে করেই ১৩ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, “আমি বলব না যে সংখ্যাটি ব্যবহার করলে বাড়ির দাম কমে যায়। কিন্তু কখনও কখনও এমনটি যাতে না হয় তার জন্য ডেভেলপাররা সংখ্যাটি বাদ দেয়। তার মানে আপনি ১১ ও ১২ তলার পরই ১৪ তলা পাবেন।”

কেটি গ্রিফিন।

কেটি বলেন, “আমি বিশেষভাবে এমন কাউকে পাইনি যিনি এসে বলেছেন, ‘আমি কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং আমি ১৩ নম্বরে থাকতে চাই না’। তবে অনেকেই বলেছেন, ‘আমি গির্জা বা কবরস্থানের কাছে থাকতে চাই না’।

তবে তার মানে এই নয় যে যুক্তরাজ্যের সবাই এই কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন। ভবনটির পাশ দিয়ে যাতায়াত করা পথচারীদের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত জরিপে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষ এই কুসংস্কারকে পুরোপুরি সঠিক বা সত্য হিসেবে বিশ্বাস করেন না।

কার্ডিফের ওডেসা বার্থর্প বিশ্বাস করেন, কুসংস্কার হল সংস্কৃতি বা লালন-পালনের ফলাফল। তবে তিনি নিজে সুখেই ১৩ তলায় বসবাস করতে পারবেন।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এই কৃসংস্কারটি সেই পুরোনো দিনগুলোরই একটি হ্যাংওভার, যখন আমরা জানতাম না যে পৃথিবীর সবকিছু কীভাবে কাজ করে বা চলে, যার ফলে আমাদের নানা বিশ্বাসের ওপর ভর করতে হয়েছিল।”

ওডেসা বার্থর্প

তিনি বলেন, “এটি আকর্ষণীয়। কিন্তু এই বিশ্বাস দিয়ে জীবন যাপন করা সম্ভব না।”

ওয়েলসের ভ্যাল অফ গ্ল্যামারগানের রুজের বাসিন্দা কারমেন আবাদ বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, যেখানেও অনেক কুসংস্কার আছে। কিন্তু তিনি সেগুলোতে বিশ্বাস করেন না।

তিনি বলেন, “১৩ তলায় বসবাস করতে আমার কোনও সমস্যা নেই। সস্তায় পেলে আমি অবশ্যই ১৩ তলায় অ্যাপার্টমেন্ট কিনব।”

কার্ডিফের ওই ভবনটির ব্যবস্থাপনা কোম্পানি অবশ্য নিশ্চিত করেছে, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ১৩তম তলায় একটি নম্বর এবং অ্যাপার্টমেন্ট উভয়ই ভাড়ার জন্য থাকবে।

তবে তা হয়তো একটু সস্তাই হবে!

তথ্যসূত্র : বিবিসি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত