যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছার কথা বলেছেন। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন তিনি।
ফ্লোরিডায় নিজের রিসোর্ট মার এ লাগোতে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই ইচ্ছার কথা বলেন ট্রাম্প।
আসছে ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্য সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি কানাডাকে তার দেশের ৫২তম রাজ্য করতে ও পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান।
প্রশ্ন হলো, গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য ট্রাম্প এত ব্যাকুল কেন? যুক্তরাষ্ট্র কি এবারই প্রথম গ্রিনল্যান্ড দখলের চেষ্টা করছে? অঞ্চলটির ৮০ শতাংশ বরফে ঢাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
গ্রিনল্যান্ড কোথায় ও এর বর্তমান অবস্থা কী
আর্কটিক মহাসাগর ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ। এটি ভৌগোলিকভাবে উত্তর আমেরিকার অংশ। অস্ট্রেলিয়া যদিও অনেক বড় এবং চারদিকে পানি দিয়ে ঘেরা, তবে এটি দ্বীপ নয়, কারণ এটি একটি মহাদেশ।
গ্রিনল্যান্ডে প্রায় ৫৬ হাজার মানুষের বাস। তাদের অধিকাংশই স্থানীয় ইনুইট জাতিগোষ্ঠীর। এর রাজধানী নুক নিউ ইয়র্কের কাছে। তবুও এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ২৯০০ কিলোমিটার। আর কোপেনহেগেন থেকে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
গ্রিনল্যান্ড ১৮শ শতকের শুরুর দিকে ডেনমার্কের অধীনে আসে। ১৯৭৯ সালে এটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হয়। ২০০৯ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ড গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকার পেয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদে ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়েছেন।
আর্কটিক এই দ্বীপটি ডেনমার্কের দুটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের একটি, অন্যটি ফারো আইল্যান্ডস।
ডেনমার্ক ন্যাটোর সদস্য হওয়ায়, গ্রিনল্যান্ডও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোটের অংশ।
গ্রিনল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ নয়। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫টি বিদেশি দেশ ও অঞ্চলের (ওসিটিএস) হিসেবে যুক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন সংক্রান্ত এক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “ওসিটিএস নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক।” অর্থাৎ গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে গণ্য হন।
১৯৭৩ সালে গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের সঙ্গে ইউরোপীয় কমিউনিটিতে যোগ দিলেও ১৯৮৫ সালে তা ত্যাগ করে। ইউরোপীয় কমিউনিটিকে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্প তার সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে গত ২৩ ডিসেম্বর এক পোস্টে বলেন, “গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ একটি একান্ত জরুরি বিষয়।”
এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে গ্রিনল্যান্ডের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এগেদে লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গ্রিনল্যান্ড বিক্রয়ের জন্য নয়। গ্রিনল্যান্ড আমাদের। আমরা বিক্রয়যোগ্য নই এবং কখনোই বিক্রয়যোগ্য হবো না। আমাদের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম আমরা হারাতে পারি না।”
ট্রাম্পের স্বায়ত্তশাসিত গ্রিনল্যান্ড দখলের ইচ্ছার পর, ডেনমার্ক সরকার গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা খাতে দেড় বিলিয়ন ডলার বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড সফরের আগে গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ট্রুথ সোশালে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গ্রিনল্যান্ড একটি অসাধারণ স্থান। এটি আমাদের অংশ হলে এখানকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে।”
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর গত বুধবার কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের রাজা ফ্রেডেরিকের সঙ্গে বৈঠক করেন এগেদে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট্টে ফ্রেডেরিকসেন বলেন, “গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডবাসীদেরই অধিকার।” একই দিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে বলেন, “এই দ্বীপের যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্য হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।”
কোপেনহেগেনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইউরোপার প্রধান বিশ্লেষক ক্রিস্টিন নিশেন আল জাজিরাকে বলেন, “গ্রিনল্যান্ড, ডেনমার্কের রাজ্যভুক্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে রিগ্সফেল্লেসক্যাবেট কাঠামোর অধীনে সার্বভৌমত্ব উপভোগ করে। এর বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ তার অধিকার ও ডেনমার্কের অধিকার লঙ্ঘন করবে।
“ডেনমার্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি কঠিন ভারসাম্য রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। তারা সার্বভৌমত্বের মতো মৌলিক একটি নীতির ওপর হুমকি দেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
“এই পরিস্থিতি কৌশলগত কূটনীতি দাবি করে, যেখানে দৃঢ় সীমারেখা থাকবে এবং উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টা ও ব্যাপক সহযোগিতামূলক স্বার্থ রক্ষা করা হবে।”
কী চান ট্রাম্প
ট্রাম্প এবারই প্রথম গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও তিনি গ্রিনল্যান্ড কিনতে চেয়েছিলেন। তখন ডেনমার্ক ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ট্রাম্প কোপেনহেগেনে তার সফর বাতিল করেন। প্রসঙ্গত, দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
উত্তর আমেরিকা হয়ে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ হলো গ্রিনল্যান্ড। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে তার সামরিক শক্তি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার জন্য কৌশলগত সুবিধা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডে তার সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে চায় গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য সংযোগকারী জলপথে রাডার স্থাপনের মাধ্যমে। এই জলপথ রাশিয়া ও চীনের জাহাজগুলোও ব্যবহার করে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এই জলপথে নিজেদের রাডার বসিয়ে রাশিয়া ও চীনের জাহাজগুলো ট্র্যাক করতে চায়।
গ্রিনল্যান্ড খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে অনেক বিরল খনিজ পদার্থও রয়েছে, যা ব্যাটারি ও উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
২০২৩ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, ইউরোপীয় কমিশনের ‘গুরুতর কাঁচামাল’ হিসেবে চিহ্নিত ৩৪টি খনিজের মধ্যে ২৫টিই গ্রিনল্যান্ডে পাওয়া গেছে।
গ্রিনল্যান্ড তেল ও গ্যাস উত্তোলন করে না। অঞ্চলটির জনগণও এর বিরুদ্ধে। দ্বীপের অর্থনীতি মূলত মৎস্য শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।
যুক্তরাষ্ট্র আগে গ্রিনল্যান্ড কেনার চেষ্টা করেছে কি
হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে গ্রিনল্যান্ডে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশটি ১৮৬৭ ও ১৯৪৬ সালে অন্তত দুইবার গ্রিনল্যান্ড কেনার কথা বিবেচনা করেছে। ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে আলাস্কা কিনেছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম এইচ সিউয়ার্ড রাশিয়া থেকে গ্রিনল্যান্ড কেনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানি ডেনমার্ক আক্রমণ করার পর যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডে প্রবেশ করে। তারা দ্বীপে একটি সামরিক ও রেডিও বেস বসায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এখনো গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে পিটুফিক স্পেস বেসে (প্রাক্তন থুলে এয়ার বেস) নিজেদের উপস্থিতি বজায় রেখেছে।
১৯৪৬ সালে গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের উপনিবেশ থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুমান ১০০ মিলিয়ন ডলারে গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব ডেনমার্ক প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই প্রস্তাব স্নায়ুযুদ্ধের গোপনীয়তার মধ্যে হয়েছিল। বিষয়টি ১৯৯১ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনসমক্ষে আসে।
গ্রিনল্যান্ডের আকার
আজকের কিছু বিশ্ব মানচিত্রে গ্রিনল্যান্ডের প্রকৃত আকার নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। আর্কটিক দ্বীপটির আয়তন ২ দশমিক ১৭ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের প্রায় তিনগুণ বড়।
তবে ডেনমার্কের এই অঞ্চলটি মানচিত্রে অনেক বড় দেখায়। এর কারণ হলো আধুনিক বিশ্ব মানচিত্রগুলো তৈরি করা ১৫৬৯ সালে ইউরোপীয় ভূ-অভ্যন্তরীণ বিশেষজ্ঞ গেইর্ট ডি ক্রেমারের তৈরি মানচিত্র অনুসারে। তার করা মানচিত্রটি আগে থেকেই সমালোচিত ভুল আয়তন দেখানোর কারণে।
মানচিত্রে গ্রিনল্যান্ডের অঞ্চল আফ্রিকার প্রায় সমান দেখানো হয়। তবে বাস্তবে এক আফ্রিকা সমান ১৪টি গ্রিনল্যান্ড।
গ্রিনল্যান্ডে ট্রাম্পের ছেলের সফর কেন
ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গত মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছান। গ্রিনল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, ট্রাম্প জুনিয়র দ্বীপটি সফর করেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। এসময় গ্রিনল্যান্ডের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি।
তবুও সোমবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে লেখেন, “আমি শুনছি যে গ্রিনল্যান্ডের মানুষ ‘ম্যাগা’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) আন্দোলনের সমর্থক। আমার ছেলে ডন জুনিয়র ও কয়েকজন প্রতিনিধি সেখানে কিছু অসাধারণ স্থান ও দৃশ্য পরিদর্শন করতে যাবেন।
“গ্রিনল্যান্ড একটি অসাধারণ স্থান। এটি আমাদের জাতির অংশ হলে এখানকার মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। আমরা এটি রক্ষা করব এবং ভালোবাসবো।”
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য কিছু ইউরোপীয় নেতাদের ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি এটি ইউএস-ইউ সম্পর্কের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ গত বুধবার ট্রাম্পের ধারণার সমালোচনা কলে বলেন, “সীমান্ত কখনোই জবরদস্তি করে পরিবর্তন করা উচিত নয়। এই নীতি প্রতিটি দেশের জন্য প্রযোজ্য, পূর্ব অথবা পশ্চিমে। আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলো নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। এটি স্পষ্ট: আমাদের একসঙ্গে দাঁড়ানো উচিত।”
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন-নোয়েল ব্যারো বুধবার ন্যাশনাল রেডিওতে বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনোই অন্য কোনো দেশের জন্য, যেই হোক না কেন, তার সার্বভৌম সীমান্ত আক্রমণ করার অনুমতি দেবে না।”
ইউরোপা থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের নিসেন বলেন, “ট্রাম্পের হুমকি বাস্তব হলে এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের মধ্যে ‘মৌলিক বিভাজন’ সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পতন, যার মধ্যে ন্যাটো এবং উদার বিশ্বের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।