Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

বিলিয়নেয়াররা কেন ফের ট্রাম্পকেই চাইছে

২০১৭ সালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কসহ একদল ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎ।
২০১৭ সালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কসহ একদল ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎ।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ইলন মাস্ক ও উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারী ডেভিড স্যাক্স গত মাসে হলিউডে বিলিয়নেয়ার এবং মিলিয়নেয়ারদের একটি গোপন ডিনার পার্টির আয়োজন করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরাজিত করা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতায় আনা।

ওই ডিনার পার্টিতে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন পিটার থিয়েল, রুপার্ট মারডক, মাইকেল মিলকেন, ট্র্যাভিস কালানিকের মতো ধনকুবেররা। ট্রাম্পের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুচিনও ছিলেন সেই নৈশভোজে।

সম্প্রতি ইলন মাস্ক তার মালিকানাধীন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সেও বাইডেনবিরোধী আগ্রাসী বক্তব্য দেওয়া বাড়িয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মাস্ক এবছর প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাতবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্পর্কে এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি বাইডেনের বয়স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও অভিবাসন সংক্রান্ত নীতির সমালোচনা করেছেন। বাইডেনকে ‘একটি বাম রাজনৈতিক মেশিনের একটি দুঃখজনক ফ্রন্ট’ বলেও অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে মাস্ক ট্রাম্পের পক্ষে ২০ বারের বেশি পোস্ট করেছেন। মাস্কের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন, তার জন্য মিডিয়া ও বিচার বিভাগের পক্ষপাত দায়ী।

এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। এক্সে মাস্কের ১৮ কোটি ৪০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মটির মালিক হওয়ায় তিনি তার পোস্টগুলো সর্বাধিক সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছে দিতেও সক্ষম। কারণ তিনি চাইলেই এর অ্যালগরিদম নিয়েও কারসাজি করতে পারেন।

বিশ্বের আর কোনও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিক কোনও স্বৈরাচারী নেতাকে মাস্কের মতো এতটা সমর্থন দেয়নি। ট্রাম্প ছাড়াও মাস্ক তার প্ল্যাটফর্মটিকে ভারতের নরেন্দ্র মোদী, আর্জেন্টিনার হাভিয়ের মাইলি এবং ব্রাজিলের জইর বলসোনারোর সমর্থনে ব্যবহার করেছেন।

নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্যই মাস্ক তাদের সমর্থন করেন। মোদীকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে ভারতে মাস্কের টেসলা গাড়ির আমদানিতে কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ব্রাজিলে মাস্ক স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের জন্য একটি বড় নতুন বাজার পেয়েছেন। আর আর্জেন্টিনা থেকে তিনি পেয়েছেন টেসলার ব্যাটারির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লিথিয়াম আমদানির সুযোগ।

তবে এর চেয়েও আরও গভীর কিছু হচ্ছে। মাস্ক, থিয়েল, মারডক ও তাদের বন্ধুরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি ভয়ঙ্কর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারী বিলিয়নেয়ার পিটার থিয়েল একবার লিখেছিলেন, “আমি আর বিশ্বাস করি না যে, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

স্বাধীনতা যদি গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তা কীসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

থিয়েল রিপাবলিকান সেনেটর জেডি ভ্যান্সের নির্বাচনী প্রচারণায় ১৫ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন। জেডি ভ্যান্স অভিযোগ করেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।

এছাড়া তিনি জো বাইডেনের অভিবাসন নীতিরও সমালোচনা করেন। তার মতে, এর ফলে ‍শুধু বাইডেনেরই ভোট বাড়বে। কারণ অভিবাসীরা বেশিরভাগই ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়। জেডি ভ্যান্স এখন ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভাইস-প্রেসিডেন্টদের তালিকায় শীর্ষে আছেন।

থিয়েল অ্যারিজোনা থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী ব্লেক মাস্টার্সের নির্বাচনী প্রচারণায়ও কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন। তারও দাবি, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতেছেন কিন্তু কারচুপি করে তাকে হারানো হয়। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের কর্তৃত্ববাদী প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইউর প্রশংসা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দেশটির শতকোটিপতিরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পেছনে প্রচুর পরিমাণে টাকা ঢালতে শুরু করেছেন।

আমেরিকানদের ট্যাক্স ফেয়ারনেসের একটি নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ৫০টি শতকোটিপতি পরিবার ইতোমধ্যেই ২০২৪ সালের নির্বাচনী চক্রে ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি দান করেছেন। আর এর বেশির ভাগই যাচ্ছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের ঝুলিতে।

ব্ল্যাকস্টোন গ্রুপের বিলিয়নেয়ার চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী স্টিফেন এ শোয়ার্জম্যান যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার নিন্দা করেছিলেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ এবং ‘আমাদের প্রিয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবমাননা’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

কিন্তু এখন তিনিও ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। কারণ হিসেবে শোয়ার্জম্যান বলেছেন, “আমাদের অর্থনৈতিক, অভিবাসন এবং বৈদেশিক নীতি দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে।”

ট্রাম্প সম্প্রতি তার নির্বাচনী প্রচার তহবিলের জন্য বিভিন্ন তেল কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছেন। ট্রাম্প তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে এর বিনিময়ে বাইডেনের গৃহীত পরিবেশ সুরক্ষা নীতি এবং সবুজ জ্বালানি নীতিগুলোকে উল্টে দেবেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, এটি তার পক্ষ থেকে তেল নির্বাহীদের জন্য এমন একটি ‘চুক্তি’ হবে, যার মাধ্যমে তাদের শিল্পের উপর থেকে কর ও নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে।

গত জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের কনফ্যাব থেকে কথা বলতে গিয়ে জেপি মরগান চেজের চেয়ারম্যান এবং সিইও জেমি ডিমনও ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।

জেপি মরগান চেজ যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে লাভজনক ব্যাংক এবং জেমি ডিমন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সিইও।

ট্রাম্পের প্রশংসা করে ডিমন বলেছেন, “এক কদম পিছিয়ে যাও, সৎ হও। ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কর সংস্কারও কাজে লেগেছে।”

অথচ সত্য হল ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২৯ লাখ চাকরি হারিয়েছে। কোভিড মহামারির আগেও ট্রাম্পের অধীনে চাকরি বাড়ার হার বাইডেনের সময়ের চেয়ে অনেক কম ছিল।

ট্রাম্পের কর কর্তনের বেশিরভাগ সুবিধাও জেপি মরগান চেজের মতো বড় কর্পোরেশন এবং জেমি ডিমনের মতো ধনী ব্যক্তিদের পকেটেই গিয়েছিল। যার ফলে সরকারি ব্যয় বাজেট ঘাটতিতে একটি বিশাল গর্ত তৈরি করেছিল।

জর্জ বুশের কর সংস্কারের পর ট্রাম্পের কর সংস্কারের নীতিগুলোও অব্যাহত থাকলে এখন জাতীয় অর্থনীতিতে ফেডারেল ঋণের অনুপাত অনেক কমে যেত।

কিন্তু ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান পার্টিকে বিলিয়নেয়ারদের অর্থ দেওয়ার উদ্দেশ্য শুধু ট্যাক্স কমানো এবং নিয়ন্ত্রণ কমানো নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রের এই অলিগার্ক বা ধনকুবের অভিজাতদের লক্ষ্য খোদ গণতন্ত্রকেই উল্টে দেওয়া।

নভেম্বরে এক পডকাস্টে ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি রাজনৈতিকভাবে খুব বেশি তৎপর হয়ে উঠছেন কি না? উত্তরে মাস্ক বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আপনি যদি জাগ্রত মন (Woke Mind) ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন, তাহলে হ্যাঁ। সেই অর্থে আমি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়েছি। কারণ আমি একে খোদ সভ্যতার জন্যই একটি হুমকি মনে করি। জাগ্রত মন ভাইরাস হল কমিউনিজমের অপর নাম।”

যুক্তরাষ্ট্রে যারা জাতিগত ও বর্ণ বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদেরকে কটাক্ষ করে জাগ্রত মন বলা হয়।

কমিউনিজমের ভূত

যুক্তরাষ্ট্রের ধনী রক্ষণশীলদের একটি পুরোনো প্রজন্ম ব্যারি গোল্ডওয়াটারের মতো প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন কারণ তারা আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু মাস্ক, থিয়েল, শোয়ার্জম্যান, মারডক এবং গণতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে তাদের সহযোগী বিলিয়নেয়াররা খুব বেশি কিছু সংরক্ষণ করতে চান না। অন্তত সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং এমনকি নারীদের ভোটের অধিকারসহ ১৯২০ সালের পরে ঘটেছিল বা সৃষ্টি হয়েছিল, এমন কিছুই তারা সংরক্ষণ করতে চান না।

থিয়েল যেমন লিখেছেন, “১৯২০ এর দশক ছিল আমেরিকান ইতিহাসের শেষ দশক, যে সময়ে কেউ রাজনীতি সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই আশাবাদী হতে পারত। ১৯২০ এর দশকের পর থেকে সামাজিক কল্যাণের সুবিধাভোগীদের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং নারীদের ভোটাধিকারের সম্প্রসারণ ‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্র’ ধারণাটিকে একটি স্ববিরোধী কথায় পরিণত করেছে।”

অথচ সত্য হল- ‘পুঁজিবাদী গণতন্ত্র’ ধারণাটি যদি স্ববিরোধী হয়ে উঠে থাকে, তবে তা জনসাধারণকে সহায়তার কারণে নয় বা নারীদের ভোটের অধিকার পাওয়ার কারণে নয়। বরং তা স্ববিরোধী হয়ে উঠেছে মাস্ক ও থিয়েলের মতো বিলিয়নেয়ার পুঁজিপতিরা ট্রাম্প এবং তাকে ঘিরে থাকা নব্য ফ্যাসিস্টদের সমর্থন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় বলে।

১৯২০ এর দশকে গিল্ডেড যুগ তথা পুঁজিপতিদের অবাধ লুণ্ঠনের যুগ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। গিল্ডেড যুগে আমেরিকার ডাকাত ব্যারনরা দেশের সম্পদের এতটাই লুণ্ঠন করেছিল যে পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের জীবনযাত্রার মান এবং জাতির উৎপাদিত পণ্য ও সেবার জন্য সামগ্রিক চাহিদা বজায় রাখতে বিশাল ঋণের সমুদ্রে ডুবে যেতে হয়েছিল।

১৯২৯ সালে যখন সেই ঋণের বুদবুদ ফেটে যায়, তখন আমরা মহামন্দা পেয়েছিলাম। বেনিতো মুসোলিনি ও অ্যাডলফ হিটলার তখন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে খারাপ হুমকি তৈরি করতে আবির্ভূত হন, আধুনিক বিশ্ব যা প্রত্যক্ষ করেছিল।

আমেরিকানরা যদি প্রথম গিল্ডেড যুগ ও ১৯৩০ এর দশকে ক্যানসারের মতো বেড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদ থেকে থেকে কিছু শিখে থাকে, তাহলে তাদের এটা বোঝা উচিৎ যে, আয় ও সম্পদের ব্যাপক বৈষম্য রাজনৈতিক ক্ষমতায়ও ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করে। এখন যেমন মাস্ক, থিয়েল, শোয়ার্জম্যান, মারডক ও অন্যান্য বিলিয়নেয়াররা ব্যাপক ক্ষমতা ভোগ করেন। আর এর ফলশ্রুতিতে এমন শক্তিশালী লোকও তৈরি হয় যারা গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা উভয়কেই ধ্বংস করে।

ফ্যাসিবাদী শক্তিশালীদের অধীনে কেউ নিরাপদ নয়- এমনকি ধনকুবের অভিজাতরাও নয়।

আমরা যদি আমাদের স্বাধীনতার বাকিটুকু রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই এই গণতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনকে প্রতিরোধ করতে একটি সাহসী গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনও দেখাতে হবে। যেই আন্দোলন আমাদের স্ব-শাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস্ক ও থিয়েলের মতো ধনকুবের অভিজাত ও ট্রাম্পের মতো নব্য ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে রক্ষা করবে।

[দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত রবার্ট রাইখের মতামত কলাম থেকে ভাষান্তরিত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শ্রম সচিব এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলের জননীতির অধ্যাপক রবার্ট রাইখ ‘সেভিং ক্যাপিটালিজম: ফর দ্য ম্যানি, নট দ্য ফিউ’ ও ‘দ্য কমন গুড’ বইয়ের লেখক। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন বই ‘দ্য সিস্টেম: হু রিগড ইট, হাউ উই ফিক্স ইট’]

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত