যুক্তরাষ্ট্র অনেকদিন ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছিল। কিন্তু দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই এসব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আফ্রিকায় সন্ত্রাসী সংগঠন আল-শাবাবের বোমা তৈরির কার্যক্রম প্রতিরোধ, পশ্চিম আফ্রিকায় আল-কায়েদার বিস্তার রোধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে আইএস বন্দীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলো এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা ও অধিকারকর্মী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ৯০ দিনের জন্য বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এটি বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
তবে যুক্তরাষ্টের বর্তমান ও সাবেক চার কর্মকর্তা জানান, এসব কর্মসূচির অধিকাংশই জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য নেওয়া হয়েছিল। তাই এগুলো স্থগিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর বিদেশি নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। এর অর্ধেকের বেশি অর্থ ইসরায়েল, মিশর ও ইউক্রেনকে দেওয়া হয়। ট্রাম্প অন্যসব সহায়তা বন্ধ করলেও এগুলো অব্যাহত রেখেছেন। তবে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য নিরাপত্তা সহযোগীরা, যারা তুলনামূলক কম সহায়তা পায়, তাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো ‘অ্যান্টি টেররিজম অ্যাসিস্ট্যান্স’ কর্মসূচি। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই কর্মসূচিতে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মিত্র দেশগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। এছাড়া অন্য কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মাদক চক্র দমন এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শক্তিশালী করা হয়। বর্তমানে প্রায় সব কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা লিখেছেন, “বিষয়টি ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ এর মতো নয় যে যেকোনো সময় মিত্রদের বলে দেওয়া যাবে ‘তোমাদের ছাঁটাই করা হলো।’ আমরা যে প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও পরামর্শ দেই, তা মূলত বিদেশি সহায়তা, যা আমাদেরই আরোপিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বজায় রাখতে মিত্র দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সঙ্কট
সোমালিয়ার সরকারকে আল-কায়েদার মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘদিন সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হঠাৎ করে সহায়তা স্থগিত হওয়ায় সোমালিয়ায় অবস্থানরত দেশটির শতাধিক সেনার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত সোমালি বিশেষ বাহিনী ‘দানাব’ এর জন্য ঘাঁটি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদাররা হঠাৎ সরে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এতে দানাবের ৪০০ সদস্য আমেরিকান সামরিক ঘাঁটির বাইরে খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা ছাড়াই আটকে পড়েছে।
সোমালি সেনাদের চিকিৎসাসেবা ও স্থানান্তরের কাজ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্রে কর্মরত অবস্থায় কাজ বন্ধের নির্দেশ পায় সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, সংস্থাটির সদস্যরা ফেরার ফ্লাইট ও পরবর্তী চিকিৎসা সহায়তার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে কি না, তা অনিশ্চিত।
সহায়তা স্থগিতের ফলে সোমালিয়ার মোগাদিশু ও গারোয়ের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গবেষণাগারগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এসব গবেষণাগার বালিস্টিক, ডিএনএ, বিস্ফোরক এবং অন্যান্য অপরাধপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে।
মোগাদিশুর পুলিশ ফরেনসিক দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহামেদ মোহামুদ আহমেদ জানান, এই গবেষণাগার ইন্টারপোল ও এফবিআইকে আঙুলের ছাপসহ অপরাধের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১২০টি সন্ত্রাসী মামলার তদন্ত করেছে এই গবেষণাগার।
তবে এক মাসের মধ্যে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের পরামর্শকরা চলে গেছেন, আইটি লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।”
সোমালিয়ায় দীর্ঘদিন কাজ করা এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধ হলে আল-শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।”
আল-শাবাব বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কেনিয়ায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে আসছে। ২০২০ সালে তারা মান্দা দ্বীপের এক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তিনজন আমেরিকানকে হত্যা করে। ২০১৩ সালে নাইরোবির ওয়েস্টগেট মলে চার দিনের অবরোধে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ২০১৯ সালে রাজধানীর এক বিলাসবহুল হোটেলে তাদের হামলায় ২১ জন প্রাণ হারান।
উত্তর সোমালিয়ায় ইসলামিক স্টেট একটি সামরিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। স্থানীয় বাহিনী তাদের উৎখাতে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তারা পশ্চিমা সহায়তা পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার হুমকি এখনও কমেনি। উভয় গোষ্ঠী তাদের কার্যক্রম আফ্রিকার দিকে সরিয়ে নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আল-শাবাব ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে, যারা বৈশ্বিক নৌপথে হামলা চালিয়ে আসছে।
আফ্রিকায় সন্ত্রাসবিরোধী সহয়তার বেশিরভাগই পায় কেনিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেশটির পুলিশকে সোমালিয়ার সঙ্গে ৪৩০ মাইল দীর্ঘ অনিয়ন্ত্রিত সীমান্ত নিরাপদ রাখতে, বিদ্রোহীদের তৈরি বিস্ফোরক হামলা প্রতিহত করতে এবং সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, কেনিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত কর্মসূচি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি, চিহ্নিতকরণ ও বিদ্রোহীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হতো।
ওয়াশিংটন পোস্টে কেনিয়ার পুলিশের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ড্রোনের মাধ্যমে আল-শাবাবের লুকানো পানির মজুদ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এক অভিযানে সেনারা একটি বিস্ফোরক স্থাপন করতে চাওয়া বিদ্রোহীদের কার্যক্রম ব্যাহত করে।
এছাড়া বিস্ফোরক প্রতিরোধ কর্মসূচিও এখন স্থগিত রয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিস্ফোরকের ধরন শনাক্ত, বোমা নির্মাতাদের চিহ্নিতকরণ এবং বিচার প্রক্রিয়ার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছিল।
কেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল দেশটির স্বাধীন পুলিশ পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে সহায়তা করে, যা দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
২০১৩ সালে ওয়েস্টগেট মলে চার দিনব্যাপী অবরোধ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়। তারা মৃতদেহ ফেলে রেখে দোকান লুট করে এবং পরবর্তী সময়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করে। তবে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
হ্যালিডে ফিঞ্চ নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক স্যাম ম্যাটক ২০১৯ সালের হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহায়তা পরিস্থিতি বদলে দিতে সক্ষম।”
বিদেশি সহায়তা ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে খুব কমই বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এ ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা উচিত।
সোমালিয়ায় দীর্ঘদিন কাজ করা এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত এবং চাই যে আমার সরকার বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে নিজ দেশের জনগণের দিকে বেশি মনোযোগ দিক। তবে সংশ্লিষ্টরা যদি ৯০ দিনের মধ্যে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত তুলে ধরতে না পারে, তখনই সহায়তা বন্ধ করা যেতে পারে।”
‘সবচেয়ে খারাপ সময়’
অর্থ সহায়তা স্থগিতের ফলে পশ্চিম আফ্রিকায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। অঞ্চলটি এখন উগ্রপন্থার হটস্পট হয়ে উঠেছে। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সহযোগীরা বিশাল এলাকা দখল করেছে। হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। সরকারি এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বারবার হামলা চালিয়েছে।
বেনিনের শক্তিশালী গণতন্ত্র আজ আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বিদ্রোহীদের হুমকির মুখে পড়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বহু বছরের একটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা। দেশটিতে গত ৮ জানুয়ারি এক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর অনেক সেনা নিহত হয়।
স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাবিলাইজেশন অ্যাডভাইজার্সের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপদেষ্টা অ্যানেলিসে বার্নার্ড বলেন, “এটি সহায়তা বন্ধ করার জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়। এটি সরকারের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার সক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত করেছে।”
অস্থির অঞ্চলে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয় আইভরি কোস্টকে। সেখানে দুটি চার বছরের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এই কর্মসূচি দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদারদের মাধ্যমে স্থানীয় সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য গত জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। একটি কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল আহতদের চিকিৎসা। আর অন্যটির লক্ষ্য ছিল মোতায়েনপূর্ব প্রশিক্ষণ।
এই কর্মসূচিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলের পরিবর্তনের অংশ ছিল, যেখানে তারা বিদ্রোহীদের সরাসরি লক্ষ্য করা থেকে তাদের দমন করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। এসব কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সংখ্যা দ্রুত কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।
গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা শাদ ছেড়ে চলে যায়। সাহেল অঞ্চলের শেষ তুলনামূলক কম অস্থিতিশীল দেশ ছিল শাদ। নাইজারের অভ্যুত্থানকারী নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের ড্রোন ঘাঁটি থেকে বহিষ্কার করে এবং তাদের পরিবর্তে রাশিয়ার সামরিক প্রশিক্ষক আহ্বান করেন।
‘কষ্টকর ছাড়’
উত্তর-পূর্ব সিরিয়াতে একই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। সেখানে দুটি শরণার্থী শিবির রয়েছে, যেখানে সন্দেহভাজন প্রায় ৪১ হাজার ইসলামিক স্টেট বিদ্রোহীর আত্মীয়র বাস। এই শিবিরগুলো আইএসের ঘোষিত খিলাফতের ধ্বংসাবশেষ।
অর্থ সহায়তা স্থগিতের কারণে আল-হোল ও রোজ শিবিরে তিন দিন মানবিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে কাজ করা সংস্থাগুলোর জন্য অস্থায়ী ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এক অধিকারকর্মী।
গার্ডদের ছাড়পত্র প্রতি দুই সপ্তাহে নবায়ন করতে হয়, যাতে কার্যক্রমে ব্যাঘাত না ঘটে। সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে সাহায্য কার্যক্রম এখনও স্থগিত রয়েছে।
এক সহায়তাকর্মী বলেন, “যখন মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পানি, খাবার ও অন্যান্য সেবা পায় না, তারা তা পাওয়ার জন্য অন্য কোথাও খুঁজবে। বিশেষত সিরিয়াতে, যেখানে ইসলামিক স্টেট তাদের নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ খুঁজছে, সেক্ষেত্রে তারা এই শূন্যতা পূরণ করতে পারে।”
এই অর্থ সহায়তা স্থগিতের ফলে ইরাক সরকার আল-হোল শিবির থেকে শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। দক্ষিণ ইরাকের একটি শিবির, যেখানে ফেরত আসা লোকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছিল, তা তহবিলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইরাকের অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক মন্ত্রী এভান জাবরো।
তথ্যসূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল