বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও তার মুক্তির দাবিকে ধৃষ্টতা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফৌজদারি অপরাধে দণ্ড পাওয়া একজন ব্যক্তির মুক্তির দাবি কেন তোলা হচ্ছে, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
তার অভিযোগ, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। তার শারীরিক অবস্থা নিয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
আন্দোলনের নামে বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখন তাদের তথাকথিত আন্দোলনের বিষয় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অসুস্থ নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
ফৌজদারি অপরাধে দণ্ড পাওয়া কোনও ব্যক্তির মুক্তভাবে এভাবে চিকিৎসা নেওয়ার নজির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরও বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে আইনগত পদ্ধতি না মেনেই খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছে।
ওবায়দুল কাদের মনে করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জনগণের কাছ থেকে করুণা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।
“দেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দেশ ত্যাগ করার কোনও বিধান নেই। মানবিক কারণে শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।”
বিএনপি এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, উচ্চ-আদালতে না গিয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে, অভিযোগ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।
তিনি বলেন, “ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি কখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না এবং চিরাচরিতভাবে আইন, বিচারব্যবস্থা, সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।”
দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোনও প্রকার বেআইনি, অযাচিত ও অযৌক্তিক দাবি কোনও গণতান্ত্রিক সরকার মানতে পারে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো আন্দোলনের নামে যেকোনও সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।”
