তিন মাসের বেতন বকেয়া। তবুও মাঠে নিবেদনের অভাব ছিল না। নারী সাফে বাংলাদেশের মেয়েরা মাঠের বাইরের সব ভুলে সেরাটা দিয়েছেন। দিনশেষে সেরা হয়েছেনও। টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা।
নারী ফুটবলাররা বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পান কম। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরই এখন পর্যন্ত বড় প্রতিযোগিতা। এখান থেকে আরও ওপরে লড়াই করতে চান সাবিনা খাতুনরা। আরও বড় মঞ্চের সাফল্য নিয়ে আসতে দেশের জন্য।
তাই প্রয়োজন যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা। খেলার জন্য যেমন, খেলার বাইরেও তেমন। উন্নত মানের অনুশীলন সুবিধা ও মাঠের পাশাপাশি জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুশৃঙ্খলাও সাবিনাদের চাওয়া। সেই চাওয়া পূরণ করবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বুধবার বাফুফে ভবনে চ্যাম্পিয়ন নারীদের বরণ অনুষ্ঠানে এমন আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের নানা সযোগ-সুবিধায় বৈষম্য অনেক। বিশেষ করে ক্রিকেটে নারীরা এদিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও ততটাই পিছিয়ে নারী ফুটবলাররা।
এ ব্যাপারে আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের মধ্যে কিছু বৈষম্য ও সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে কিছু অভিযোগ আছে। আমরা সেগুলো জেনেছি এবং সেই বিষয়গুলো সমাধান জন্য ইতিমধ্যে বাফুফের সঙ্গে কথা বলেছি। বিসিবির সঙ্গেও কথা বলছি। এই বিষয়গুলো আমরা দ্রুতই সমাধান করতে পারবো বলে আশা রাখছি। এ ব্যাপারে যে কোন ধরনে সহায়তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করার জন্য সর্বোচ্চ সদিচ্ছা আছে এবং সামনের দিনে আমরা এগুলো করবো।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অধীনে খেলোয়াড়দের উন্নত অনুশীলন সুবিধার নিশ্চয়তার কথা জানিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। সেই চেষ্টায় উন্নত পর্যায়ের অনুশীলনের জন্য আলাদা ইনস্টিটিউট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্পোর্টস ভিলেজ করার চেষ্টা আছে মন্ত্রণালয়ের, যেখানে সব ফেডারেশন উন্নত সুবিধায় অনুশীলন করবে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে বাফুফের বাজেট আটকে রাখা প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আসিফ মাহমুদ। যে কারণে নারী ফুটবলারদের বেতনও আটকে আছে।
এমনটা হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম বাফুফের বাজেট মন্ত্রণালয় আটকে রেখেছিল। বাফুফের সাথে মন্ত্রণালয় কিংবা বিসিবি’র যে সাপে নেউলে সম্পর্ক, স্পোর্টসে তো এরকম হওয়া উচিত না। এখানে কোন রাজনীতি হওয়া উচিত না। আমরা স্পোর্টসকে এক জায়গায় দেখতে চাই এবং সার্বিক স্পোর্টসের উন্নয়নে যাতে সবাই এক জায়গায় এসে কাজ করতে পারি, সেটা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”