আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেতে চায় বাংলাদেশ। স্বপ্ন পূরণের সেই পথটা বেশ কঠিন। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে সামনে দুটি সিরিজ খেলবেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ভারতের সরাসরি টিকিট কাটতে হলে দুই সিরিজের ছয় ম্যাচেই জিততে হবে।
জ্যোতিদের জন্য সুযোগ যেমন আছে তেমনি ভয়ও আছে। সুযোগ হলো প্রথম তিন ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে। এ তিন ম্যাচ নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারে আইরিশদের চেয়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দল। কিন্তু পরের সিরিজটি হবে উইন্ডিজে। ক্যারিবিয়ান নারীদের সঙ্গে তাদের মাঠে তিন ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন।
বাছাইপর্ব পাশ কাটিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা যে কঠিন তা বাংলাদেশ দলেরও জানা। তাই জ্যোতিদের ভাবনাটা এখন শুধু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জয় নিয়ে। ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া সিরিজের সবকটি ম্যাচ হবে মিরপুরে। এরপর সিলেটে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ।
এই সিরিজে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল নিয়ে বেশ আগ্রহ জন্মেছে তার প্রমাণ জাতীয় দলের টাইটেল স্পন্সর পাওয়া। দেশের মাটিতে গত কয়েক সিরিজে ভালো করেছেন নারীরা। ভালো ক্রিকেটের আগ্রহ থেকেই নারী দলের স্পনসর হয়েছে স্কয়ার গ্রুপ। টাইটেল স্পনসর হিসেবে লেখা থাকবে—সেনোরা, পাওয়ার্ড বাই রুচি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে হওয়া স্পন্সর ঘোষণা অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার কথা জায়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার, “বিশ্বকাপের আগে ছয়টি ম্যাচ আছে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আরও তিনটি। এই ছয়টা ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু শুরু করছি ঘরের মাঠে, এখানে আমাদের সুবিধা থাকবে। আমরা এখন সব ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। আমরা এই সিরিজটা নিয়েই ভাবছি। এটাই আমাদের প্রথম টার্গেট।’
সিরিজের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে হাবিবুল যোগ করেন, ‘এই সিরিজের জন্য অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১ তারিখ থেকে অনুশীলন করছে মেয়েরা। এই সময়টায় আমাদের ভালোই উন্নতি হয়েছে। এখন দেখা যাক, মাঠে আমরা কেমন করি।’
অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহা ও নাজমূল আবেদীন, মিডিয়াকম লিমিটেডের সিইও অজয় কুমার কুন্ডু, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং ড. জেসমিন জামান ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মো. ইমতিয়াজ ফিরোজ।