Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

দুই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ৯০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংক সদর দপ্তর।
ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংক সদর দপ্তর।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

আর্থিক খাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং নগর অবকাঠামো উন্নয়নের দুই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে ৯০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে।

শনিবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন পায় বলে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে।

বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ডলারে ১১৮ টাকা) বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। ডলার সংকটে থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভ শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে এই অর্থ।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় জানায়, বাংলাদেশের আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ‘সেকেন্ড রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হবে ৫০ কোটি ডলার।

এই অর্থ বাজেট সহায়তা হিসেবে সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ব্যবহার করতে পারবে। অর্থাৎ এই অর্থের পুরোটাই রিজার্ভে যুক্ত করে বাংলাদেশি টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে সরকার।

অন্য প্রকল্পটি হচ্ছে ‘দ্য রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দেওয়া হবে ৪০ কোটি ডলার।

এই প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষিণের কক্সবাজার এবং উত্তরের পঞ্চগড় জেলার অর্থনৈতিক করিডোরের সাতটি শহরের জলবায়ু সহনশীল, লিঙ্গ বৈষম্যরোধ মুলক এবং নগর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক পরিচালক আবদুলায়ে সেক বলেন, “নতুন এই অর্থায়ন বাংলাদেশের মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে প্রয়োজনীয় আর্থিক খাতের সংস্কার এবং উন্নত নগরায়ন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।”

বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, “এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের উন্নয়ন, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে যারা ঋণের সুযোগ পান না, তাদের জন্য ঋণের সুযোগ তৈরি হবে।”

বাংলাদেশ সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করার জন্য নতুন যে আইনি কাঠামো গ্রহণ করেছে, তা ব্যাংক পুনরুদ্ধার কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হ্যােভন বলেন, এই অর্থায়ন কম মূলধনী ব্যাংকগুলোর সমস্যা মোকাবেলায় দ্রুত সংশোধনমূলক কর্মকাঠামো বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত