লেহানেসের বিপক্ষে লা লিগা ম্যাচে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছিলেন লামিন ইয়ামাল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল, তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে এই ফরোয়ার্ডকে। তবে এই সময়কালের অনেক আগেই মাঠে ফিরেছেন ইয়ামাল। শুধু কি তাই, চোট থেকে ফিরে বার্সেলোনার জয়ের নায়কও তিনি।
স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে বার্সেলোনা ২-০ গোলে হারিয়েছে আথলেতিক বিলবাওকে। প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ২৭তম ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় গোলটি ইয়ামালের। শুধু গোল নয়, যত সময় মাঠে ছিলেন বিলবাওয়ের রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছেন। অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে যে মাত্র ফিরেছেন, তার খেলা দেখে সেটা বোঝার উপায় ছিল না।
বিলবাও ম্যাচ দিয়েই খেলায় ফিরেছেন ইয়ামাল। কোচ হান্সি ফ্লিক অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তাকে নামিয়ে দেন শুরুর একাদশে। ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড দারুণ পারফরম্যান্সে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ আরেকবার দিয়েছেন। যদিও বার্সেলোনাকে শুরুতে এগিয়ে নিয়েছিলেন গাভি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের কাটব্যাট থেকে ছোট বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সেলোনা। বিরতি থেকে ঘুরে এসে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় লাগেনি কাতালানদের। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন ইয়ামাল। গাভির বাড়ানো চমৎকার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে কয়েক ধাপ এগিয়ে পরাস্ত করেন বিলবাও গোলকিপার উনাই সিমনকে।
চোট থেকে ফেরা ইয়ামালের খেলায় ভীষণ খুশি কোচ ফ্লিক। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, “সে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছে। আমাদের খেলোয়াড় বদল করা দরকার ছিল। ৬০ মিনিট কিংবা ৬৫ মিনিটে আমরা (ইয়ামালকে) বদলটাই। আমি তাকে নিয়ে ভীষণ খুশি।”
ফ্লিকের অধীনে প্রথমবার কোনও ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। তাও আবার আথলেতিক বিলবাওয়ের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে। জার্মান কোচ বলছেন, “আমরা ২-০ ব্যবধানে জিতেছি, এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমরা এখন ফাইনালে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ক্লিনশিট রাখতে পেরেও আনন্দিত। এই দলটা দারুণ পারফর্ম করেছে। এই ম্যাচে জয়ের দাবিদার আমরাই।”
বার্সেলোনার এখন ফাইনালের প্রস্তুতি। সৌদি আরবের যে ফাইনাল হতে যেতে পারে এল ক্লাসিকো। সেজন্য দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কার বিপক্ষে জিততে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে।