আগামী ১৩ ডিসেম্বর পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ।
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের নতুন অন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীনে ফুটবল, ক্রিকেট বাদে অন্য খেলাধুলা যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি কোনও দল খেলতেও আসেনি গত কয়েক মাসে। তবে এই ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট দিয়ে যেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
টুর্নামেন্ট হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ১৩-১৫ ডিসেম্বর হবে জুনিয়রদের প্রতিযোগিতা। এরপর সিনিয়রদের অংশগ্রহণে ১৭-২১ ডিসেম্বর হবে আরেকটি প্রতিযোগিতা।
জুনিয়র টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া অংশগ্রহণ করবে। সিনিয়র টুর্নামেন্টে খেলবে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ড।
জুনিয়র বিভাগে বাংলাদেশের ৫৫ জনসহ ১১৪ জন এবং সিনিয়র বিভাগে বাংলাদেশের ৬১ জনসহ ২২৮ জন শাটলার খেলবেন।
প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও নারীদের একক ও দ্বৈতের পাশাপাশি মিশ্র দ্বৈত- এই পাঁচ ইভেন্টেই খেলা হবে। এ উপলক্ষ্যে বিওএ ভবনে বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।
সাবেক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ও ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুন নাহার ডানা আশাবাদী বাংলাদেশের সাফল্যের ব্যাপারে, “আমরা পুরুষ ও নারী দুই বিভাগেই ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি। বিশেষ করে জুনিয়র বিভাগে বিগত টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের একাধিক পদক ছিল। এবারও সেই রকম কিছু আশা রয়েছে।”
সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনা সুলতানা নারী ও আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন জাভেদ আহমেদ পুরুষ দলের কোচ। এই টুর্নামেন্টে টেকনিকাল অফিসিয়াল হিসেবে কাজ করার কথা ছিল আম্পায়ার ইসমাইল নজীব রাসেলের। তার অকালমৃত্যুতে সেই ভার এখন পড়েছে শামীম হোসেনর ওপর।
বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ও টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর তাপতুন নাসরীন বিওএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমরা এই টুর্নামেন্টের সার্বিক বিষয় অবহিত করেছি। বিমান বন্দর, হোটেল, ভেন্যু সব জায়গায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।”