Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

অভ্যুত্থান মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, একজোট থাকতে হবে : ড. ইউনূস

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
[publishpress_authors_box]

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস; অভ্যুত্থান মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে বলে তাদের সতর্ক করলেন তিনি; আহ্বান জানালেন এই সময়ে সবাইকে একজোট থাকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে চলা কূটনৈতিক টানাপড়েন উত্তেজনার দিকে গড়ানোর প্রেক্ষাপটে বুধবার ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঢাকায় ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করলেন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে তার সংলাপে বসার কথা রয়েছে। আগেই জানানো হয়েছিল, এই বৈঠকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. ইউনূস।

এর আগেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসেছিলেন তিনি; তবে তখন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সংস্কার ও নির্বাচন। এবারের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় আসার চার মাস পরের এই বৈঠকে ষড়যন্ত্র ঠেকানোর ওপরই তিনি জোর দেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তাকে উদ্ধৃতি করে বাসস প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমাদের এই বিরাট অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা একে মুছে দিতে চায়। আড়াল করতে চায়। এটাকে নতুন ভঙ্গিতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। এখানে কোনও বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না, জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।”

ষড়যন্ত্রের শুরু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকেই শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে এখন তা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে তার পর্যবেক্ষণ। সেই কারণেই এই সংলাপ আহ্বান বলে তিনি জানান।

কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে ড. ইউনূস বলেন, “তবে এখন যে চেষ্টা চলছে, তার বিশেষ একটা রূপ আছে। সেজন্য আপনাদের বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছি।

“এটা হচ্ছে, যে বাংলাদেশ আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, সেটাকে ধামাচাপা দিয়ে আরেক বাংলাদেশের কাহিনী তারা রচনা করছে। সারাক্ষণ এটার নানা রূপরেখা তারা দিয়ে যাচ্ছে। এটা যে এক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে, তা নয়। বিশেষ বিশেষ বড় বড় দেশের মধ্যে জড়িয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা কেন জানি যড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারছি না। আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে জগদ্দল পাথর সরাতে পারলাম, এনিয়ে আমাদের আনন্দ করার কথা। কিন্তু আমাদের এই মুক্তি, আমাদের এই স্বাধীনতা অনেকের কাছে পছন্দ হচ্ছে না। নানাভাবে, নানা জায়গা থেকে এটাকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

“৫ আগস্টের পর থেকে কত রকমভাবে তা এসেছে, আপনারা বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো দেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে মনে করেছিলাম দুর্গাপূজা আসছে, এটা নিয়ে একটা হাঙ্গামা শুরু হবে। সেখানে আমরা ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম, সবাই সেই ঐক্যের মধ্যে শরিক হয়েছিলেন। সারাদেশজুড়ে খুব শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হয়েছে। সারাদেশ পূজার আনন্দে সবাই শরিক হয়েছিল। কোনও রকমের বিশৃঙ্খলা, কটূক্তি কিছুই হয়নি।”

সম্প্রীরর এই বাংলাদেশের চিত্র অনেকের পছন্দ হয়নি মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, “আবার নতুন নতুন বেশে নতুনভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। তারা গণঅভ্যুত্থানকে একটা ভয়ঙ্কর কাণ্ড হিসেবে দেখাতে চাইছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে একটা ভয়ঙ্কর কাণ্ড হয়ে গেছে।

“সেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড থেকে রক্ষা করতে হবে। তারা রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে চায়। তাদের অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে বাস্তবকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেটার জন্য আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে।”

অপপ্রচার মোকাবেলায় সব দলের সক্রিয়তা চেয়ে তিনি বলেন, “আমরা মুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, সেটাকে তারা মুছে দিতে চায়। তারা আগেরটাতে ফিরে যেতে চায়। আগেরটা কীভাবে তারা নিয়ে আসবে? তারা একটা কাল্পনিক বাংলাদেশ তৈরি করে রাখতে চায়।

“তাদের শক্তি অনেক বেশি। অর্থশক্তি এবং আয়োজনের শক্তি এত বেশি ক্রমে ক্রমে তারা মানুষকে বোঝাতে নতুন নতুন কল্প-কাহিনী তৈরি করছে, সেটাতে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।”

একদিন আগে এই সংলাপ আয়োজনের খবর দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ খোলাখুলি করেছিলেন।

অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি স্বীকারও করেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক মাত্রায় নেই।

এরমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর হিন্দু সাধু চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করার পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাল্টাপাল্টি বিবৃতির পর তা রাজপথে বিক্ষোভেও গড়ায়।

সোমবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এমনই এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। হামলাকারীরা দূতাবাসে ভাংচুর চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও পোড়ায়।

তার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলবের পরপরই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ড. ইউনূসের সংলাপ ডাকার খবর আসে।  

অপপ্রচার বাংলাদেশের নতুন যাত্রাপথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সংলাপে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তা মোকাবেলায় তাদের সহযোগিতা তিনি চেয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথে এটা একটা মস্ত বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জিনিসটা যেন আমরা ঠিকভাবে মোকাবেলা করতে ভুল না করি। সেটার জন্য সকলের পরামর্শ নিয়ে আমরা যেন একযোগে কাজ করতে পারি। সবাই মিলে করলে একটা সমবেত শক্তি আসবে।”

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার খবর নিয়ে অতিরঞ্জন চলছে বলে আগে থেকে বলে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সংলাপেও সেই প্রসঙ্গটি তুলে ড. ইউনূস বলেন, “যারা অপতথ্য ছড়াচ্ছে তাদেরকে আমরা বার বার বলছি, আপনারা আসেন, দেখেন। এখানে কোনও বাধা নেই। এখানে কী বলার বাধা আছে? দেখার বাধা আছে? কিন্তু না, তারা কল্প-কাহিনী বানিয়ে যাচ্ছেন।

“এখন আমাদের সারা দুনিয়াকে বলতে হবে, আমরা এক। আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, একযোগে পেয়েছি। কোনও মতভেদের মাধ্যমে পাইনি, কাউকে ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদেরকে বের করে দিয়েছি। সেই জিনিসটা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

আহ্বানে ‘সাড়া দিয়েছে’ দলগুলো

সংলাপের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সংলাপ শেষে ফরেইন সার্ভিস একাডেমির সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ছিল। তবে সবাই দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

“সবাই একটা কথা বলেছেন, আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল, নতজানু ভাবার কোনও অবকাশ নেই। যেকোনও ধরনের অপপ্রচার এবং উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং আমাদের ঐক্য অটুট রাখব। আমরা সাহসী থাকব, ভবিষ্যতে যেকোনও অপপ্রচার বা উসকানি দিলে আমরা আমাদের ঐক্যকে আরও বেগবান রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”

বৈঠকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানানো হয় বলে জানান আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, “বৈঠকে এসবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে।

“ভারতের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে সরকারকে বিষয়গুলো ‘অ্যাড্রেস’ করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য প্রবাসী বন্ধু ও অন্য বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোকে ডেকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের যোগাযোগ দক্ষতা ও আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।” 

তিনি বলেন, ভারতের ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করার প্রস্তাবও বৈঠকে এসেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, রামপালসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর যেসব চুক্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিল করার দাবি বৈঠকে জানানো হয়েছে।

“বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্য, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা, সেটার নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতকে বাংলাদেশের প্রতি মর্যাদাশীল এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

সংলাপ শেষে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংলাপ শেষে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সংলাপে ছিল কোন কোন দল

প্রধান উপদেষ্টার আগের সংলাপে যে রাজনৈতিক দলগুলো ছিল, বুধবারের বৈঠকেও সেই দলগুলো অংশ নেয়।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে বৈঠকে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারোয়ারসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটসঙ্গী কোনও দল স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠকে ডাক পায়নি।

বাম দলগুলোর মধ্যে সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও শাহ আলম, বাসদের খালেকুজ্জামান, জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী ঐক্য ফ্রন্টের মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি সংলাপে ছিল।

এলডিপির অলি আহমদ ও রেদোয়ান আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর ও রাশেদ খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হক, আব্দুল বাসিদ আজাদ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, জমিয়তে উলামে ইসলামের আব্দুর রব ইউসুফি, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেনদি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপে আলোচনার সময় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সামনের সারিতে বিএনপি নেতারা এবং জামায়াতে আমির শফিকুরের মাঝে ছিলেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান।

সংলাপ শেষে সবার যে ছবি পিআইডি প্রকাশ করেছে, তাতে মধ্যমনি হয়ে থাকা ড. ইউনূসের পাশেই ছিলেন জামায়াতের আমির। বিএনপিসহ বাম দলগুলোর নেতারা দাঁড়ান ড. ইউনূসের বাম দিকে, আর ডান পাশের অধিকাংশ নেতাই ছিলেন ডান দলের নেতা।

সংলাপ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সরকারের জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি।

“অতীতে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে সবাই মিলে যেভাবে পরাজিত করেছে। এখন তাদের এবং দোসরদের রুখে দিতে সবাই একত্রে কাজ করার কথা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা ঐক্যের ডাক দেবেন। আমরা সরকারের পাশে থাকার কথা বলেছি।”

নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা নির্বাচনের কথাও বলেছি। আমরা বলেছি, এই সরকার জনগণের ভোটের ব্যবস্থা করতে ওয়াদাবদ্ধ। তাই সংস্কারের পর রোডম্যাপ ঘোষণা করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথা বলেছি। জনগণ নির্বাচনের রোডম্যাপ পেলে নির্বাচনমুখী হবে। তখন যেসব ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন এসব আর কেউ করতে সাহস পাবে না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত