Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ

গ্রাফিতি
[publishpress_authors_box]

জোরপূর্বক গুম হওয়া থেকে সব নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের এই সনদে যুক্ত হওয়ার দলিলে স্বাক্ষর করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের একদিন আগে এই দলিলে সই করে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।”

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও কার্যালয় যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “এই কনভেনশনে বাংলাদেশ আজকে স্বাক্ষর করেছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজে স্বাক্ষর করেছেন।

“আর যেন কেউ কখনও নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে কোনও বাহিনীকে দিয়ে কোনও পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কথা বলে গুম না করতে পারে, সেজন্য আমরা স্বাক্ষর করেছি। এ ব্যাপারে আইনি সংস্কার আমরা করব।”

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে এই মাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনকালে বহু মানুষকে গুম করার অভিযোগ রয়েছে।  

সাতশ’র বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “গুম বাংলাদেশে অহরহ হচ্ছিল। এটা আমরা অস্বীকার করেছিলাম।”

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : পিআইডি

গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিশন এরই মধ্যে গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া কমিশনে সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

মঙ্গলবার এই কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনও সংস্থার কোনও সদস্যের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এই কমিশন বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে। এজন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে ৪৫ কার্যদিবস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত