স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের সঙ্গে প্রেম শুরুর দিনটি স্মরণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে র্যাপ গান ‘গেট লো’ নিজের কণ্ঠের ভার্সন রেকর্ড করেছেন ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান জাকারবার্গ। রেকর্ডে আমেরিকান সুপার স্টার টি-পেইনের কণ্ঠও রয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ অটোটিউন টুলের সাহায্য নিয়ে গানটি গেয়েছেন। ২০০৩ সালে লিল জন এবং হিপ-হপ ব্যান্ড ইস্ট সাইড বয়েজ এর মাধ্যমে ড্যান্স ফ্লোর বা পাার্টি গান হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘গেট লো’ গানটি। জাকারবার্গ অবশ্য মূল গানটিতে একটু পরিবর্তন এনে অ্যাকুয়াস্টিক ধারায় এটি গেয়েছেন।
মেটা বস তার নিজের ইনস্টাগ্রামে হ্যান্ডেলে বলেন, “আমি যখন প্রথম প্রিসিলার সাথে একটি কলেজ পার্টিতে দেখা করি তখন ‘গেট লো’ চলছিল, তাই প্রতি বছর আমরা আমাদের ডেটিং অ্যানিভার্সারিতে এটি শুনি।”
৪০ বছর বয়সী জাকারবার্গ মজা করে এই গানটিকে ‘লিরিক্যাল মাস্টারপিস’ হিসেবে উল্লেখ করে। তিনি জেড-পেইন নামে নিজের গাওয়া সংস্করণটি প্রকাশ করেছেন।
চ্যান প্রত্যুত্তরে জাকারবার্গের এ নিবেদনকে ‘খুবই রোমান্টিক’ উল্লেখ নিজের আবেগ প্রকাশ করে বলেন, “এখন আর আগের মতো অত নিচু হয়ে নাচতে পারি না, কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং সেই ভালোবাসার জন্য আরও বেশি কৃতজ্ঞ।”
এখানে চ্যান আসলে তাদের ভালোবাসার গভীরতাকে তুলে ধরেছেন, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে সময়ের সঙ্গে শারীরিক সামর্থ্য কিছুটা কমলেও তাদের ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা আরও বেড়েছে।
জাকারবার্গের পোস্টে রেকর্ডিং স্টুডিওতে গানটিতে কাজ করার সময় নিজের এবং টি-পেনের একটি ছবি ছিল।
গায়ক-গীতিকার এবং প্রযোজক টি-পেইন, ওরফে ফাহিম নাজম, তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন কীভাবে ‘জেড-পেইন এসেছে’।
গানটির লিরিকে জাকারবার্গ নিজের একটি অংশও জুড়ে দিয়েছেন। মূলত তিনিই এই গানে প্রধান শিল্পী। টি-পেইন র্যাপের অ্যাড লিবস মিলিয়েছেন বা সঙ্গ দিয়েছেন।
মার্ক জাকারবার্গের গানটির সংস্করণটি প্রকাশিত হলো গানের শিল্পী লিল জনের একটি সারপ্রাইজ পারফরম্যান্সের তিন মাস পর। মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার দিন গায়ক লিল জন শিকাগোর মঞ্চে এই গানটি হঠাৎই ধরেছিলেন।
জাকারবার্গের ভালোবাসা প্রকাশের কৌশল বরাবরই ব্যতিক্রমী। আগস্ট মাসে তিনি শিল্পী ড্যানিয়েল আর্শামের তৈরি একটি অনন্য মূর্তি উন্মোচন করেন, যা সবুজ কপার ও স্টিল দিয়ে তৈরি। মূর্তিটি তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে উৎসর্গ করে তিনি বলেন, “স্ত্রী মূর্তির মধ্য দিয়ে রোমান ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনলাম।”